জামালপুরে মসজিদে সভা করা নিয়ে জামায়াত ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে মারামারি
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় মসজিদের ভেতরে সভা করাকে কেন্দ্র করে জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের পাঁচপয়লা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মারামারিতে রবিউল ইসলাম নামে জামায়াতের এক নেতা আহত হয়েছেন। তিনি মাহমুদপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সহসাধারণ সম্পাদক। তাঁকে মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল রাতে মেলান্দহ উপজেলা শহরে বিক্ষোভ করেছেন জামায়াতের নেতা-কর্মীরা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাহমুদপুর ইউনিয়নের পাঁচপয়লা জামে মসজিদে এশার নামাজের পর ইউনিয়ন জামায়াতের উদ্যোগে একটি সভা চলছিল। এ সময় ইউনিয়ন বিএনপির শিক্ষা সম্পাদক মো. জিয়াউল হকের নেতৃত্বে বিএনপির কয়েকজন নেতা-কর্মী মসজিদে গিয়ে রাজনৈতিক সভা করতে নিষেধ করেন। এ নিয়ে প্রথমে উভয় পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারি হয়। এতে জামায়াত নেতা রবিউল ইসলাম আহত হন। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে গতকাল রাতেই উপজেলা জামায়াতের নেতা-কর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে মাহমুদপুর ইউনিয়ন বিএনপির শিক্ষা সম্পাদক মো. জিয়াউল হকের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও বন্ধ পাওয়া যায়। পরে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তৈয়বুর রহমান বলেন, মসজিদের ভেতরে জামায়াতের নেতা-কর্মীরা রাজনৈতিক সভা করেন। এ ব্যাপারে নিষেধ করার পরও গতকাল রাতে তাঁরা সভা করছিলেন। এ সময় বিএনপির কয়েকজন মসজিদে গিয়ে আবার নিষেধ করেন। এতে জামায়াতের নেতা-কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ইউনিয়ন বিএনপির শিক্ষা সম্পাদক জিয়াউল হককে প্রথমে মারধর করেন। পরে তাঁদের নেতা-কর্মীরাও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। তিনি গিয়ে উভয় পক্ষকে থামিয়ে দেন।
মেলান্দহ উপজেলা জামায়াতের আমির ইদ্রিস আলী প্রথম আলোকে বলেন, মসজিদের ভেতরে কয়েকজন আলাপ-আলোচনা করছিলেন। এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা সেখানে গিয়ে হামলা চালান। এ ঘটনায় তাঁরা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জামায়াতের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

